ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ (এফআইভিডিবি) জাতীয় পর্যায়ের একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা। ১৯৭৯ তে প্রতিষ্টিত সংস্থাটি ১৯৮১ সাল থেকে উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে।
এফআইভিডিবি বিগত তিন দশক ধরে সিলেট বিভাগের প্রান্তীয় জনপদগুলোতে উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে সক্রিয় রয়েছে। এরই মধ্যে এতদঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর নিকট সংস্থা পেয়েছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা, সংস্থার কার্যক্রম বাস্তবায়নগত দক্ষতা ও স্বচ্ছতা আদায় করে নিয়েছে তৃণমূলস্তরের মানুষের আস্থা। সংস্থা কর্তৃক গৃহীত মূল কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে শিশু ও বয়ষ্কদের জন্য শিক্ষা, জীবনমান উন্নয়নকল্পে শিক্ষা ও জীবিকায়নে সহায়তা— যার মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় প্রণোদনা ও যোগান সরবরাহ, বিপনন সহযোগিতা এবং আবশ্যক আর্থিক যোগান সংস্থানের ব্যবস্থা, যাতে এই প্রান্তবর্গের মানুষজন উন্নত জীবনধারণের একটি দিশা লাভ করেন এবং আয়-বৃদ্ধিমূলক বিচিত্র কর্মকান্ডে নিজেদেরকে নিয়োজিত করার পথ খুঁজে পান।
উল্লেখ করা দরকার যে, সামগ্রিক বিচারে সিলেট বিভাগকে তুলনামূলক সচ্ছল এলাকা মনে হলেও এর সামাজিক উন্নয়নের দিকটি অদ্যাবধি পিছিয়ে এবং নানা ভাবেই বাধাগ্রস্থ এর অগ্রগতি। দীর্ঘকাল ধরে একপ্রকার সামাজিক রক্ষণশীল সংস্কৃতির প্রভাবে এই এলাকায় দারিদ্র্যের চালচিত্র যেন অনড় হয়ে রয়েছে এবং সচরাচর ব্যবহৃত সমীক্ষা-সূচকগুলোতে এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক গতিধারার অনুন্নতি অবিলম্বেই ধরা পড়ে। শিক্ষাক্ষেত্রে এতদঞ্চলের পশ্চাদপদতা এই অনুন্নতি ও অনগ্রসরতার পেছনে একটি মূখ্য ভূমিকা। ভূ-প্রাকৃতিক কারণেই এখানে শিক্ষার সুযোগ অবারিত ছিল না কোনোকালে, এখনো সুযোগের উপস্থিতি অপ্রতুল। খানা-পর্যায়ে দারিদ্র্যের প্রকোপ এখানকার উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণে প্রতিবন্ধক। মানবোন্নয়নমূলক কর্মকান্ড যথা: শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতিতে প্রবেশাধিকারের সুযোগ অনুপস্থিত থাকার ফলে এখানকার মানুষজনকে নিজেদের জীবনমান ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন ঘটাতে বেগ পেতে হয়। এইসব প্রত্যক্ষ কারণেই সিলেট বিভাগ উন্নয়ন বিনিয়োগের অগ্রাধিকার-তালিকা থেকে সাধারণত বাইরে থেকে যায়। এহেন পটভূমিতে যুগপৎ জনপদ ও নীতি-প্রভাবিতকরণ পর্যায়ে এফআইভিডিবি কাজ করে চলেছে।
ক্রম | প্রাপ্ত স্বীকৃতির নাম | প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের নাম | তারিখ/সন |
০১ | J. Roby Kidd | দি ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডাল্ট এডুকেশন(আই.সি.এ.ই.) টরোন্ট, কানাডা। | ১৯৯৫ |
০২ | নব্য ও স্বল্প সাক্ষরদের উপযোগী সৃজনশীল সাক্ষরতা উপকরণ উন্নয়ন প্রতিযোগীতায় ‘আমার কথা বলতে চাই, লেখাপড়া শিখতে চাই’ পোস্টারটি বিশেষ পুরস্কার লাভ করে। | এশিয়ান কালচারাল সেন্টার ফর ইউনেস্কো (ACCU), জাপান। | ১৯৯৪ |
০৩ | আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস জাতীয় পুরষ্কার | প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। | ১৯৯৬ |
০৪ | আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস জাতীয় পুরষ্কার | প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। | ১৯৯৭ |
০৫ | আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস জাতীয় পুরষ্কার | প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। | ১৯৯৮ |